ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত চার দেশ। সিরিয়া,
তিউনিসিয়া, কুয়েত ও ফ্রান্স। সবমিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। এর
মধ্যে নৃশংসতম হামলাটি ঘটেছে, সিরিয়ার কুর্দিশ শহর কোবানেতে। আইসিস
জঙ্গিদের হত্যালীলায় এখানে, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। যার মধ্যে
অধিকাংশই কোবানের সাধারণ মানুষ। রাস্তা-ঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তাক্ত
দেহ। শহরে ঢোকার মুখে একের পর এক আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। নিহতদের
মধ্যে রয়েছে মহিলা এবং শিশুরাও। গণহত্যার এমন নজির, ছাপিয়ে গিয়েছে বহু
নৃশংসতাকেই। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আইসিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ
গড়ে তুলেছিল কুর্দিশ মিলিশিয়া। হারের মুখেও পড়তে হয় জঙ্গিদের। বদলা নিতেই
সম্ভবত এই পাল্টা হামলা।
জঙ্গি হামলা কুয়েতেও। এখানে মসজিদে নাশকতায় মৃতের
সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭। কুয়েত শহরেই আল-ইমাম-আল-সাদেক মসজিদে গতকাল
প্রার্থনা চলাকালীন, আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। আহতের সংখ্যা দুশোরও
বেশি। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ
তদন্তে নেমে পড়েছে প্রশাসন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব, বান কি মুন কড়া ভাষায়
এই হামলার নিন্দা করেছেন।
পাঁচ ব্রিটিশ নাগরিক সহ, তিউনিসিয়ায় জঙ্গি হামলায়
মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। আহতদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা
আশঙ্কাজনক। ঘটনাকে নজিরবিহীন নাশকতা বলে বর্ণনা করেছেন তিউনিসিয়ার
প্রেসিডেন্ট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, beach umbrella-য় বন্দুক লুকিয়ে
নিয়ে ঢুকেছিল হামলাকারী। সৌসি শহরে, ফাইভ স্টার রিসর্ট রিউ ইম্পেরিয়াল
মারহাবা হোটেলে এরপরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আতঙ্কে শিউরে উঠেছেন
অনেকেই। রিসর্টে ঢুকেই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ী। এখনও ঘটনার
দায় স্বীকার করা হয়নি কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে।
ফ্রান্সে জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত পুলিসের জালে
ধরা পড়েছে চার সন্দেহভাজন। এদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত ইয়াসিন সালহি-ও।
গতকাল ফ্রান্সের লিঁয় শহর থেকে কিছুটা দূরে,একটি গ্যাস কারখানার দেওয়ালে
দুরন্ত গতিতে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। পুলিস জানিয়েছে,ওই কারখানায় বিস্ফোরণ
ঘটানোই ছিল জঙ্গিদের লক্ষ্য। হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত হয়েছেন আরও
দু জন। এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া
ওলান্দে।
No comments:
Post a Comment