যে কারণে স্বর্ণের দাম কমেছে
বিশ্ব স্বর্ণের বাজারে এখন নিম্নগামী। মাস দুয়েক আগেও ভরি প্রতি স্বর্ণের যে দাম ছিল এখন তারচেয়েও অনেক কমে গেছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভারতের বাজারে প্রতি দশ গ্রাম স্বর্ণ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মাত্র বিশ হাজার পাঁচশ রুপিতে নেমে আসতে পারে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে স্বর্ণের দামের এমন অবনমন আর হয়নি। গত বছর অবশ্য জাতীয় রিজার্ভ কমে যাওয়ায় স্বর্ণের দামে কিছুটা তারতম্য হয়েছিল, কিন্তু চলতি দরের মতো নয়।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বর্ণের দামের এই অবনমন ২০১৫-১৬ অর্থবছর পুরোটাই বিরাজ করতে পারে। ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ এজেন্সির বক্তব্য অনুসারে, ভারতের আভ্যন্তরীণ বাজারে দশ গ্রাম স্বর্ণের দাম বিশ হাজার পাঁচশ থেকে চব্বিশ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূদের হার বাড়ায়। তবে রেটিং এজেন্সিটি আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় ব্যাংক খুব তারাতারি সূদের হার বাড়িয়ে স্বর্ণের দামের এই অবনমন ঠেকাবে।
অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে প্রতি আউন্স স্বর্ণ নয়শ ডলার থেকে এক হাজার পঁঞ্চাশ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেটিং এজেন্সিটির মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির এই অবনমনের সময়ে স্বর্ণের দাম রাতারাতি বাড়বে এমনটা আশা করা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মূল্যের উপর ভিত্তি করে নয়শ ডলারের নিচে স্বর্ণের দাম নামার কথা নয়। কারণ স্বর্ণের মূল্য নির্ভর করে মূলত আভ্যন্তরীণ মুদ্রা বাজারের অবস্থা ও ব্যাংকগুলোর আমানত প্রতি সূদের হারের উঠানামার উপর। পাশাপাশি আরও একটা ব্যাপার থেকে যায় স্বর্ণের মূল্যমান নির্ধারণ প্রশ্নে। খনিজাত স্বর্ণের উৎপাদনের উপরই দাম নির্ভর করে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের মোট স্বর্ণ চাহিদার প্রায় অর্ধেকই ভারত এবং চীনের।
গত ২০১১-২০১২ সালে ভারতের আভ্যন্তরীন অর্থনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো, তৎকালীন সময়ে স্বর্ণের চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে কয়েক মাসের জন্য ভারতের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আর ওই দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত দুই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি পরিমান স্বর্ণ চোরাচালান হয়েছে।
স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রশ্নে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানকে ডলার হিসেবে মূল্য শোধ করার চুক্তি থাকছে, বর্তমানে স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানই (ব্যাংক, বীমা, বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ) স্বর্ণে লেনদেন করে অর্থের তারল্যমানকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তাতে বাণিজ্যিক ঝুকির মুখে পরছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসায়িরা। সরকারগুলো বাজারে সরকারি বন্ড বা সঞ্চয়পত্র কম ছাড়ায় জনগণের হাতে থাকা নগদ অর্থ রাতারাতি অলস অর্থে পরিণত হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সাধারণত এমন অবস্থায় সূদের হার বাড়িয়ে দিয়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর পক্ষে তাও সম্ভব হচ্ছে না।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ভারতের বাজারে প্রতি দশ গ্রাম স্বর্ণ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মাত্র বিশ হাজার পাঁচশ রুপিতে নেমে আসতে পারে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে স্বর্ণের দামের এমন অবনমন আর হয়নি। গত বছর অবশ্য জাতীয় রিজার্ভ কমে যাওয়ায় স্বর্ণের দামে কিছুটা তারতম্য হয়েছিল, কিন্তু চলতি দরের মতো নয়।
ধারণা করা হচ্ছে, স্বর্ণের দামের এই অবনমন ২০১৫-১৬ অর্থবছর পুরোটাই বিরাজ করতে পারে। ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ এজেন্সির বক্তব্য অনুসারে, ভারতের আভ্যন্তরীণ বাজারে দশ গ্রাম স্বর্ণের দাম বিশ হাজার পাঁচশ থেকে চব্বিশ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় ব্যাংক সূদের হার বাড়ায়। তবে রেটিং এজেন্সিটি আশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রিয় ব্যাংক খুব তারাতারি সূদের হার বাড়িয়ে স্বর্ণের দামের এই অবনমন ঠেকাবে।
অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে প্রতি আউন্স স্বর্ণ নয়শ ডলার থেকে এক হাজার পঁঞ্চাশ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেটিং এজেন্সিটির মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির এই অবনমনের সময়ে স্বর্ণের দাম রাতারাতি বাড়বে এমনটা আশা করা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মূল্যের উপর ভিত্তি করে নয়শ ডলারের নিচে স্বর্ণের দাম নামার কথা নয়। কারণ স্বর্ণের মূল্য নির্ভর করে মূলত আভ্যন্তরীণ মুদ্রা বাজারের অবস্থা ও ব্যাংকগুলোর আমানত প্রতি সূদের হারের উঠানামার উপর। পাশাপাশি আরও একটা ব্যাপার থেকে যায় স্বর্ণের মূল্যমান নির্ধারণ প্রশ্নে। খনিজাত স্বর্ণের উৎপাদনের উপরই দাম নির্ভর করে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের মোট স্বর্ণ চাহিদার প্রায় অর্ধেকই ভারত এবং চীনের।
গত ২০১১-২০১২ সালে ভারতের আভ্যন্তরীন অর্থনীতির দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাবো, তৎকালীন সময়ে স্বর্ণের চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকার কারণে কয়েক মাসের জন্য ভারতের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আর ওই দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গত দুই বছরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি পরিমান স্বর্ণ চোরাচালান হয়েছে।
স্বর্ণের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রশ্নে যখন কোনো প্রতিষ্ঠানকে ডলার হিসেবে মূল্য শোধ করার চুক্তি থাকছে, বর্তমানে স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠানই (ব্যাংক, বীমা, বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ) স্বর্ণে লেনদেন করে অর্থের তারল্যমানকে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে।
কিন্তু তাতে বাণিজ্যিক ঝুকির মুখে পরছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসায়িরা। সরকারগুলো বাজারে সরকারি বন্ড বা সঞ্চয়পত্র কম ছাড়ায় জনগণের হাতে থাকা নগদ অর্থ রাতারাতি অলস অর্থে পরিণত হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সাধারণত এমন অবস্থায় সূদের হার বাড়িয়ে দিয়ে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কিন্তু স্বর্ণের দাম কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর পক্ষে তাও সম্ভব হচ্ছে না।