Saturday, 5 September 2015

সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া পুত্রশোকে পাথর বাবার আর্তি, যুদ্ধ বন্ধ হোক

সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া পুত্রশোকে পাথর বাবার আর্তি, যুদ্ধ বন্ধ হোক


1

আয়লান এবং গালিপের হাত ধরে রয়েছেন আবদুল্লা।

প্রশাসনের নজর এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত ৩টেয় রবারের ছোট নৌকায় রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। বাঁচার জন্য গ্রিসে পৌঁছনোটা ছিল খুব জরুরি। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর কোনও উপায়ই ছিল না। বাধ্য হয়েই জীবন বাজি রেখে গভীর রাতে সমুদ্রপথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নৌকা পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবস্থা করতে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন নগদ চার হাজার ইউরো। তা সত্ত্বেও নতুন জীবনের পথে যাওয়া হল না আবদুল্লার! ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ এক ঝটকায় যেন তছনছ করে দিল তাঁর জীবন। স্ত্রী এবং পুত্রশোকে বিহ্বল বাবার এখন একমাত্র আর্জি, যুদ্ধ বন্ধ হোক।
তাঁরই তিন বছরের ছেলে আয়লানের দেহ ভেসে এসেছে তুরস্কের উপকূলে। যে ছবি দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া এবং একই সঙ্গে শান্তিরক্ষার দাবিতে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বে। অথচ তাঁরই ভিতরটা এখন ফাঁকা।
বৃহস্পতিবার আয়লানের দেহ নেওয়ার জন্য তুরস্কের এক মর্গে যান আবদুল্লা। প্রিয়জনদের হারিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তিনি। জীবন থেকে তাঁর আর কিছুই পাওয়ার নেই। ছলছল চোখে আবদুল্লা বলেন, ‘‘আমার কাছে আর কোনও কিছুরই মূল্য নেই। যা মূল্যবান ছিল তা হারিয়েছি।’’
এ ভাবেই পড়েছিল ছোট্ট আয়লানের দেহ। 
তুরস্কের ওই ঘটনার পরে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। এমনকী, বাদ যাননি আবদুল্লাও। বাবা হয়ে একরত্তি দুই শিশুকে কেন এ ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন, তা নিয়ে শ’য়ে শ’য়ে আঙুল উঠেছে তাঁর দিকেও। প্রশ্ন উঠেছে, কেন লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়নি? সমালোচনার মুখে অবশ্য মানুষ ভুলে গিয়েছেন আসল বিষয়টিই। ভুলে গিয়েছে কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আবদুল্লারা দেশ ছেড়েছেন।
এ দিন আবদুল্লার দাবি, লাইফ জ্যাকেট তাঁদের ছিল। কিন্ত দুর্ঘটনার সময় তা কোনও ভাবে গা থেকে খুলে যায়। যদিও তুরস্কের পুলিশের দাবি, এত ছোট সাইজের লাইফ জ্যাকেট সেখানে অমিল।
প্রশাসনের নজর এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত ৩টেয় রবারের ছোট নৌকায় রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ ফুট উঁচু বিপজ্জনক ঢেউয়ের আঘাতে প্রতি মুহূর্তেই ছিল ডুবে যাওয়ার ভয়। কিন্তু পিছনে ফেরার উপায়ও যে ছিল না! সিরিয়া ছেড়ে সপরিবারে কানাডায় বোনের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। আবদুল্লার বোন টিমা কুর্দি কানাডার বাসিন্দা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সবই হারিয়েছিলেন আবদুল্লা। টাকা ছিল না। সিরিয়া থেকে কানাডা-এই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দাদাকে তাঁর কাছে আসার জন্য টাকাও পাঠিয়েছিলেন টিমা। সেই টাকার ভসাতেই রওনা দেন আবদু্ল্লারা। মাঝসমুদ্রে ঘটে বিপত্তি। পাঁচ ফুট উঁচু ঢেউ নিমেযের মধ্যেই বদলে যায় ১৫ ফুটের দৈত্যে। উল্টে যায় নৌকা। সন্তানদের, স্ত্রী-কে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। নিজে ডুবে যেতেও যেতেও চেষ্টা করেছিলেন ছেলেদের মুখ জলের উপরে রাখতে, যাতে তারা শ্বাস নিতে পারে। কিন্তু পারেননি। চোখের সামনেই তাঁদেরকে ডুবে যেতে দেখেন আবদুল্লা।
ফোনে দাদার থেকে সব শুনেছেন টিমা। তাঁর আফসোস, কেন টাকা পাঠালাম? তা না হলে হয়ত দাদা সিরিয়াতেই থেকে যেত। পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কানাডা সরকারের বিরুদ্ধেও। এর আগে তাঁর সঙ্গে কানাডায় বসবাস করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন এক দাদা। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। ঘটনা সামনে আসার পর সমালোচকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারও।



চশমা বানাতে দোকানে পোপ

চশমা বানাতে দোকানে পোপ


3

এই ফ্রেমটা মানাচ্ছে তো? 

তিনি আর পাঁচ জন পোপের থেকে আলাদা। গির্জার নিয়ম ভেঙেছেন আগেও। কখনও মহিলা বন্দির পা ধুয়ে দিয়েছেন, কখনও জড়িয়ে ধরেছেন ‘কদাকার-দর্শন’ রোগীকে। আবার সরব হয়েছেন সমকামীদের অধিকার নিয়েও। এ বার ফের নিয়ম ভাঙলেন পোপ ফ্রান্সিস। হঠাৎই বেরিয়ে পড়লেন ভ্যাটিকান থেকে। নেহাত্ই ব্যক্তিগত কাজে। চশমার পাওয়ার বেড়েছে। সকলেই বলেছিলেন, পোপ কেন দোকানে যাবেন! দোকান-মালিককেই ভ্যাটিকানে ডেকে নিলেই হয়। সেই মতো খবরও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পোপ জানিয়ে দেন, তিনিই যাবেন। সেই মতো নিজেই কাল দোকানে গিয়ে পছন্দ করেন চশমার ফ্রেম। সঙ্গে ছিলেন এক জন দেহরক্ষী ও সাদা পোশাকের পুলিশ।

গত বছর ওই দোকানেই চশমা বানিয়েছিলেন পোপ। দোকান-মালিক আলেস্যান্দ্রো স্পেজিয়া আজ বলেন, ‘‘গত বার আমাদের বানানো চশমা খুব পছন্দ হয়েছিল ওঁর। তাই নতুন প্রেসক্রিপশনও এখানে নিয়ে আসেন। আমারই অবশ্য ভ্যাটিকানে যাওয়ার কথা ছিল। পোপ রাজি হননি।’’ স্পেজিয়ার ছোট্ট দোকানটিতে ঘণ্টাখানেক ছিলেন পোপ। ভিড় জমে যায় আশপাশে। দোকান থেকে বেরোতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। কেউ জড়িয়ে ধরেন হাত। কেউ বা হাত বাড়িয়ে দেন পোপকে একটু ছুঁয়ে দেখতে।  বুয়েনস আইরেসে আর্চবিশপ থাকাকালীন বাসে-ট্রামেই যাতায়াত করতেন তিনি। কোনও সমস্যা হতো
না। ‘‘এখন আর ইচ্ছেমতো বেরোতে পারি না’’, আক্ষেপ ‘পোপ’ ফ্রান্সিসের।













  • শুরু থ তিনি 

U.S. Agrees to Release Huawei Executive in Case That Strained Ties With China

  U.S. Agrees to Release Huawei Executive in Case That Strained Ties With China Meng Wanzhou, a senior executive of Huawei Technologies,  ou...