Monday, 28 December 2015

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত আসক্তি কাটাবে স্মার্ট অ্যাপ!

স্মার্টফোনের অতিরিক্ত আসক্তি কাটাবে স্মার্ট অ্যাপ!


যদি জিজ্ঞেস করা হয় নিজের কোন জিনিস ছাড়া এক পাও চলতে পারেন না? শতকরা একশো জনের মধ্যে নিরানব্বই জনই বলবেন স্মার্টফোন। দিন কে দিন সেই আসক্তি বাড়ছেই। ফোন ছাড়া যেন এক পাও চলছে না আপনার। সময় পেলেই ফোনে খুটুর খুটুর। তা নিয়ে পরিচিত-অপরিচিত প্রত্যেকেই আপনার উপর অসন্তুষ্ট হচ্ছে। চাইলেও আপনি ফোনের ‌অতিরিক্ত আসক্তি কাটাতে পারছেন না।
তা হলে উপায় কী?
আপনাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন এক দল কোরীয় ইঞ্জিনিয়ার। স্মার্টফোনের অতিরিক্ত আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে এসে গিয়েছে ‘লক অ্যান্ড লল’ নামে নতুন একটি অ্যাপ। দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকেরা তৈরি করেছেন অ্যাপটি।
কী ভাবে কাজ করবে অ্যাপটি?
নতুন কোন মেসেজ এসেছে কি না, সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস আপডেট করা, সার্চ ইঞ্জিনে নতুন তথ্য পেতে, মেল চেক করার জন্য ঘন ঘন ফোন চেক করে মানুষ। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক উইচিন লি জানিয়েছেন, এ খানেই অ্যাপটির কেরামতি। ব্যবহারকারীকে একটি নতুন রুম অথবা এখন যে রুমগুলি রয়েছে তাতে যোগ দিতে বলা হবে। শুধু ব্যবহারকারী নিজেই নন এই রুমগুলি ব্যবহার করতে পারবেন তাঁর বন্ধু-বান্ধব পরিচিত সকলেই। অ্যাপটি কার্যকর করতে হলে গ্রুপ লিমিট লক মোডটি অ্যাক্টিভেট করতে হবে। তার পরই কেল্লাফতে। অ্যাপটি অ্যাক্টিভেট করার পর ফোন লক হয়ে গেলে সমস্ত নোটিফিকেশন, অ্যালার্ম মিউট করা থাকবে। অনুমতি পেলে তবেই ফোনটি আনলক করতে পারা যাবে। বিশেষ কোন ক্ষেত্রেই শুধু প্রতি ঘণ্টায় মাত্র মিনিট পাঁচেকের জন্য ফোন ব্যবহার করা যাবে।
কতটা সফল হবে এই প্রচেষ্টা?
হাজার খানেক অংশগ্রহণকারীর উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মাস খানেক ধরে চালানো হয়েছে পরীক্ষা। কোরীয় গবেষকদের দাবি, শুধু নির্দিষ্ট স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই নয়,অতিরিক্ত আসক্তি ঝেড়ে ফেলতে আশপাশের ফোনের ব্যবহারকারীদেরও উত্সাহিত করবে অ্যাপটি। যাঁদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বলেছেন লক অ্যাপের দৌলতে অন্তত ১০ হাজার ঘণ্টা বেঁচে গিয়েছে তাঁদের। তার ফলে আরও বেশি সময় তাঁরা পরিবারের সঙ্গে  কাটাতে পেরেছেন।
আধুনিক জীবনে অভ্যস্ত বেশির ভাগ জনই যখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। তখন এই অ্যাপ নিঃসন্দেহে আত্মকেন্দ্রিকতা কমিয়ে পরিবারের মধ্যে ভালবাসা বাড়িয়ে তুলবে। কী বলেন?

রোজ রাতের দুধ, ভাগাবে অনিদ্রা

রোজ রাতের দুধ, ভাগাবে অনিদ্রা

রাতে আপনার ঘুম হচ্ছে না? ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন? গাদা গাদা ঘুমের বড়ি গিলবেন না। তার থেকে বরং এক গ্লাস গরুর দুধ খান। নয়া এক গবেষণা বলছে রাত্রিবেলা সংগৃহীত গরুর দুধ (নাইট মিল্ক) ঘুমের অব্যর্থ ওষুধ।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইউমইয়াং রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর নিউরোসায়েন্স একটি গবেষণা জানাচ্ছে এই নাইট মিল্ক প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান ও মেলাটোনিন রয়েছে। প্রাকৃতিক হরমোন মেলাটোনিন ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনে রূপান্তরিত হতে পারে।

আরও পড়ুন-জানতে চান আর কত বছর বাঁচবেন?

গবেষক দলটি জানাচ্ছে ‘‘দুধ ঘুমকে ত্বরান্বিত করে। এটা বহু আগে থেকেই জানা। এর মধ্যে এমন প্রচুর উপাদান আছে যা ঘুমের পক্ষে উপযোগী। এই গবেষণায় প্রমাণিত নাইট মিল্ক শুধু অনিদ্রা নয় দূরে ভাগায় উত্কণ্ঠাও।’’
জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুড-এ এই গবেষণাপত্রটি বেড়িয়েছে। 

Tuesday, 24 November 2015

আজ শেষ হচ্ছে হাতে লেখা পাসপোর্টের যুগ

আজ শেষ হচ্ছে হাতে লেখা পাসপোর্টের যুগ

বাংলাদেশের পাসপোর্ট 
আজ ২৪ নভেম্বর থেকে শেষ হচ্ছে হাতে লেখা পাসপোর্টের যুগ। আগামীকাল থেকে বিশ্বের কোনো বিমানবন্দরে হাতে লেখা পাসপোর্ট গ্রহণ করা হবে না। ফলে যাঁদের যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) নেই, তাঁরা হাতে লেখা পাসপোর্ট নিয়ে কোনো দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। তবে তাৎক্ষণিকভাবে চাইলে দূতাবাস বা মিশন থেকে ‘ট্রাভেল পাসপোর্ট’ নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন প্রবাসীরা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা বলছে, আজ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ প্রবাসীর হাতে এমআরপি পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে হাতে লেখা পাসপোর্টধারীরা বিদেশ থেকে যদি কেউ আসতে চান, তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মিশন থেকে একটি পাসপোর্ট বা ট্রাভেল পাস নিয়ে দেশে আসতে পারবেন। এ ছাড়া যেসব প্রবাসী দেশে আছেন, তাঁদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এমআরপি করার সুযোগ থাকবে। আর দেশে-বিদেশে জরুরি প্রয়োজনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাসপোর্ট) মোস্তফা কামাল উদ্দিন। তাঁর মতে, গতকাল পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৫ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এমআরপি ইস্যু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
গত বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, বিদেশে বসবাসরত ১১ লাখ ৩২ হাজার ৩৩৭ জনকে এখনো যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) দিতে পারেনি সরকার। অন্যদিকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে, এমআরপি পাননি, এমন প্রবাসীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি হবে না।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের কোনো লোক বিপদে পড়বে না। কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। তাৎক্ষণিক পাসপোর্ট দেওয়ার সব সুবিধা রয়েছে। আমাদের জানা নেই কোথা থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে ১১ লাখ লোককে পাসপোর্ট দিতে পারেনি সরকার।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান বলেন, ভিসা নিয়ে যাঁরা বিদেশে রয়েছেন, যাঁদের ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে এমআরপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুধু ভ্রমণের ক্ষেত্রে এমআরপির প্রয়োজন হবে। তবে তাঁদের দেশে ফিরতে সমস্যা হবে না।
 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাঁচ শ্রেণির প্রবাসীরা তাঁদের হাতে লেখা পাসপোর্ট যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট (এমআরপি) করাতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এঁদের বেশির ভাগই অবৈধভাবে বিদেশে গেছেন বা আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পাসপোর্ট) মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি, দুই লাখ লোক এমআরপি আওতার বাইরে থাকবেন। সরকার এমআরপি করার জন্য প্রবাসীদের বারবার সুযোগ দিয়েছে। এখন টেলিভিশনেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি এ সুযোগ না নেন, তাহলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এর জন্য দায়ী থাকবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এন এম জিয়াউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, যে দুই লাখ লোক এমআরপি আওতার বাইরে থাকবেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে করে ফেলবেন।

কোমরব্যথা নিয়ন্ত্রণে ৯ পরামর্শ

কোমরব্যথা নিয়ন্ত্রণে ৯ পরামর্শ

.আমাদের চলাফেরা, বসা কিংবা দাঁড়ানোর ভঙ্গি কখনো কখনো সঠিক থাকে না। পরিণতিতে কোমরব্যথা ও মাজাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয় বা অন্য কোনো সমস্যার পরিণামেও অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়। কারণ যা-ই হোক, কোমরব্যথার রোগীদের কিছু বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। যেমন:
*সামনে ঝুঁকে বা নিচু হয়ে কোনো জিনিস মেঝে থেকে তুলবেন না। এ রকম প্রয়োজনে হাঁটু গেড়ে বসে তারপর জিনিসটি তুলতে হবে। নলকূপ বা টিউবওয়েল চেপে পানি তোলার মতো কাজ থেকেও বিরত থাকুন।
*নিচু হয়ে বঁটিতে কিছু কাটাকাটি করা বা মসলা বাটাও নিষেধ। দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করার উপযোগী চুলা ব্যবহার করতে হবে। পিঁড়ি বা মোড়ায় বসবেন না। হাই কমোড ব্যবহার করতে পারেন।
*ভারী জিনিস তুলবেন না। বহনও করবেন না। মেরুদণ্ডে সমস্যা থাকলে নিচু বা উবু হয়ে কাপড় কাচা বা ঘর মোছার মতো কাজও করবেন না।|
*জুতা বা মোজা পরার সময় টুলের ওপর বসে কোমর সোজা রাখুন।
*বসার চেয়ার যেন স্প্রিংয়ের না হয়। হাতলযুক্ত চেয়ার ভালো। দীর্ঘ সময় বসে কাজ করলে পিঠে বা মাজায় হালকা কুশন ব্যবহার করুন। পিঠ যেন সোজা থাকে।
*বিছানায় নরম ফোমের বদলে তোশক বা জাজিম ব্যবহার করুন। স্বাস্থ্যসম্মত (স্পাইন গ্রেডেড) ম্যাট্রেস ব্যবহার করা যেতে পারে। শোয়া থেকে ওঠার সময় একদিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে তারপর উঠুন।
*পেছনে ব্যথা যাঁদের, তাঁরা মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেল কিছুদিন এড়িয়ে চলুন। গাড়ি বা বাসের সামনের আসনে বসার চেষ্টা করুন।
*উঁচু হিলের জুতা, ব্যাকপকেটে মোটা মানিব্যাগ বা ভারী জিনিস রাখবেন না। বেশি ওজনের হাতব্যাগ বা ব্রিফকেস বহন করবেন না।
*ওজন নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যকর চলাফেরার অভ্যাস করুন। তাহলেই ব্যথামুক্ত থাকবেন।

ডা. সুদীপ্ত কুমার মুখার্জি 
নিউরোসার্জারি বিভাগ জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Wednesday, 7 October 2015

কী ভাবে অপরিবর্তিত থাকে ডিএনএ? উত্তর দিয়ে এ বারের রসায়নে নোবেল












বংশগতির ধারাকে বহন করে ডিএনএ। কোষ থেকে কোষে ডিএনএ থেকে যায় অপরিবর্তিত। যা রাসায়নিক ভাবে অসম্ভব। তবে কী ভাবে তা সম্ভব হয়? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই এ বছরের রসায়নের নোবেল শিরোপা পেলেন থমাস লিন্ডাল, পল বংশগতির ধারাকে বহন করে ডিএনএ। কোষ থেকে কোষে ডিএনএ থেকে যায় অপরিবর্তিত। যা রাসায়নিক ভাবে অসম্ভব। তবে কী ভাবে তা সম্ভব হয়? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েই বছরের রসায়নের নোবেল শিরোপা পেলেন থমাস লিন্ডাল, পল মোদরিচ এবং আজিজ স্যাঙ্কার
থমাসের জন্ম সুইডেনে। এখন কাজ করছেন ব্রিটেনে। মার্কিনি পল স্বদেশেই কাজ করছেন। আর আজিজের জন্ম তুরস্কে। তবে এখন আমেরিকায় কর্মরত। তিন জনই উপরের প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন আলদা আলাদা ভাবে। তাই বছরের পুরস্কার সমান ভাবে ভাগ করে নেবেন তাঁরা
মানুষের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর ২৩টি আর ডিম্বাণুর ২৩টি ক্রোমোজোম জুড়ে মাতৃগর্ভে প্রথম কোষটিতে তৈরি হয় প্রথম ডিএনএ। তার পরে দুই, চার, আট... কোষ থেকে কোষান্তরে ডিনএনএ অধিষ্ঠান। সব মিলিয়ে গর্ভধারণের প্রথম সপ্তাহে মোট ১২৮টি কোষের ডিএনএ-কে যোগ প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ হবে। আর পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহের সব কোষের ডিএনএ- মোট দৈর্ঘ্য হবে পৃথিবী থেকে সূর্য ২৫০ বার যাওয়া-আসার সমান। কিন্তু কী আশ্চর্য এই অসংখ্য কোষের প্রতিটি ডিএনএ একই রকম দেখতে! কিন্তু রসায়নের নিয়ম বলে অসম্ভব
বিষয়টি নিয়ে ৬০’-এর দশক থেকেই মেতে আছেন থমাস লিন্ডাল। বিবর্তনের জন্য ডিএনএ- পরিবর্তন হয়। কিন্তু তা তো মাসে-মাসে। কিন্তু ডিএনএ-এমনিতে বিশেষ পরিবর্তিত হয় না। থমাস দেখলেন, ডিএনএ- ক্ষয় হয়। কিন্ত তা সেরেও যায়। আর এই ক্ষয়-প্রতিরোধী ব্যবস্থাই ডিএনএ-কে অপরিবর্তি রাখে
কী ভাবে?
ব্যাকটিরিয়ার উপরে পরীক্ষা করে থমাস দেখলেন কারণ বিশেষ ধরনের ৎসেচক। তার পরে ৩৫ বছরের দীর্ঘ গবেষণা। শুধু ব্যাকটিরিয়ার নয়, মানব শরীরেও এই ধরনের ৎসেচকের সন্ধান পেলেন থমাস। ১৯৯৬- গবেষণাগারে মানব শরীরের ডিএনএ- সেই মেরামতি প্রক্রিয়ার পুনর্নিমাণ করলেন
কিন্তু ডিএনএ- ক্ষয় তো শুধু শরীরের ভিতরের নানা কারণ থেকেই হয় না, বাইরের প্রভাব থেকেও হয়। যেমন, অতিবেগুনি রশ্মি। আর এই প্রক্রিয়াটা নিয়েই ভাবনা চিন্তা তুরস্কের আজিজ স্যাঙ্কারের। চিকিৎসক হিসেবে শুরু করলেও, জৈব রসায়নের টানে ডাক্তারি ছেড়ে গবেষণার জন্য সোজা আমেরিকা। একটি বিষয় তাঁকে অনেক দিন ধরে ভাবাচ্ছিল। অতিবেগুনি রশ্মির মরণকামড়ের পরেও কোনও ব্যাকটিরিয়াকে নীল আলোয় রাখলে সে সেরে ওঠে। কেন এমন হয়? এর পিছনেও সেই ৎসেচকের খেলা। প্রক্রিয়াটিকে বিশদে বুঝতে সাহায্য করলেন আজিজ
আর পল মোদরিচের কাজ ডিএনএ- মেরামতির প্রক্রিয়াটি নিয়েই। ১৯৬৩-তে ডিএনএ- গঠন আবিষ্কার করে সদ্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জেমন ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক। সেই থেকে জীববিজ্ঞানের শিক্ষক বাবার প্রভাবে ডিএনএ- প্রতি আকর্ষণ পলের। সেই আকর্ষণ রয়েও গেল আজন্ম। পল দেখালেন কোথায় ডিএনএ- মেরামতি দরকার তা কী ভাবে ঠিক হয়
নোবেল কমিটির মতে, আলাদা আলাদা ভাবে এই তিন জনের কাজ কোষ নিয়ে আমাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে দিল। জানাল, ডিএনএ- এই মেরামতি ঠিকঠাক না হলে ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে যায়। পাশাপাশি এঁদের কাজ জিন-ঘটিত অসুখগুলিকে আরও গভীর ভাবে বুঝতেও সাহায্য করল বলেও জানিয়েছে নোবেল কমিটি

Saturday, 5 September 2015

সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া পুত্রশোকে পাথর বাবার আর্তি, যুদ্ধ বন্ধ হোক

সমুদ্রে হারিয়ে যাওয়া পুত্রশোকে পাথর বাবার আর্তি, যুদ্ধ বন্ধ হোক


1

আয়লান এবং গালিপের হাত ধরে রয়েছেন আবদুল্লা।

প্রশাসনের নজর এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত ৩টেয় রবারের ছোট নৌকায় রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। বাঁচার জন্য গ্রিসে পৌঁছনোটা ছিল খুব জরুরি। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর কোনও উপায়ই ছিল না। বাধ্য হয়েই জীবন বাজি রেখে গভীর রাতে সমুদ্রপথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি। নৌকা পাওয়া যাচ্ছিল না। তার ব্যবস্থা করতে অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন নগদ চার হাজার ইউরো। তা সত্ত্বেও নতুন জীবনের পথে যাওয়া হল না আবদুল্লার! ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ এক ঝটকায় যেন তছনছ করে দিল তাঁর জীবন। স্ত্রী এবং পুত্রশোকে বিহ্বল বাবার এখন একমাত্র আর্জি, যুদ্ধ বন্ধ হোক।
তাঁরই তিন বছরের ছেলে আয়লানের দেহ ভেসে এসেছে তুরস্কের উপকূলে। যে ছবি দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া এবং একই সঙ্গে শান্তিরক্ষার দাবিতে সরব হয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা বিশ্বে। অথচ তাঁরই ভিতরটা এখন ফাঁকা।
বৃহস্পতিবার আয়লানের দেহ নেওয়ার জন্য তুরস্কের এক মর্গে যান আবদুল্লা। প্রিয়জনদের হারিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তিনি। জীবন থেকে তাঁর আর কিছুই পাওয়ার নেই। ছলছল চোখে আবদুল্লা বলেন, ‘‘আমার কাছে আর কোনও কিছুরই মূল্য নেই। যা মূল্যবান ছিল তা হারিয়েছি।’’
এ ভাবেই পড়েছিল ছোট্ট আয়লানের দেহ। 
তুরস্কের ওই ঘটনার পরে তোলপাড় হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। এমনকী, বাদ যাননি আবদুল্লাও। বাবা হয়ে একরত্তি দুই শিশুকে কেন এ ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন, তা নিয়ে শ’য়ে শ’য়ে আঙুল উঠেছে তাঁর দিকেও। প্রশ্ন উঠেছে, কেন লাইফ জ্যাকেট পরানো হয়নি? সমালোচনার মুখে অবশ্য মানুষ ভুলে গিয়েছেন আসল বিষয়টিই। ভুলে গিয়েছে কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আবদুল্লারা দেশ ছেড়েছেন।
এ দিন আবদুল্লার দাবি, লাইফ জ্যাকেট তাঁদের ছিল। কিন্ত দুর্ঘটনার সময় তা কোনও ভাবে গা থেকে খুলে যায়। যদিও তুরস্কের পুলিশের দাবি, এত ছোট সাইজের লাইফ জ্যাকেট সেখানে অমিল।
প্রশাসনের নজর এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাত ৩টেয় রবারের ছোট নৌকায় রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ ফুট উঁচু বিপজ্জনক ঢেউয়ের আঘাতে প্রতি মুহূর্তেই ছিল ডুবে যাওয়ার ভয়। কিন্তু পিছনে ফেরার উপায়ও যে ছিল না! সিরিয়া ছেড়ে সপরিবারে কানাডায় বোনের কাছে যাচ্ছিলেন তিনি। আবদুল্লার বোন টিমা কুর্দি কানাডার বাসিন্দা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় সবই হারিয়েছিলেন আবদুল্লা। টাকা ছিল না। সিরিয়া থেকে কানাডা-এই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দাদাকে তাঁর কাছে আসার জন্য টাকাও পাঠিয়েছিলেন টিমা। সেই টাকার ভসাতেই রওনা দেন আবদু্ল্লারা। মাঝসমুদ্রে ঘটে বিপত্তি। পাঁচ ফুট উঁচু ঢেউ নিমেযের মধ্যেই বদলে যায় ১৫ ফুটের দৈত্যে। উল্টে যায় নৌকা। সন্তানদের, স্ত্রী-কে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। নিজে ডুবে যেতেও যেতেও চেষ্টা করেছিলেন ছেলেদের মুখ জলের উপরে রাখতে, যাতে তারা শ্বাস নিতে পারে। কিন্তু পারেননি। চোখের সামনেই তাঁদেরকে ডুবে যেতে দেখেন আবদুল্লা।
ফোনে দাদার থেকে সব শুনেছেন টিমা। তাঁর আফসোস, কেন টাকা পাঠালাম? তা না হলে হয়ত দাদা সিরিয়াতেই থেকে যেত। পাশাপাশি তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কানাডা সরকারের বিরুদ্ধেও। এর আগে তাঁর সঙ্গে কানাডায় বসবাস করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন এক দাদা। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। ঘটনা সামনে আসার পর সমালোচকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপারও।



চশমা বানাতে দোকানে পোপ

চশমা বানাতে দোকানে পোপ


3

এই ফ্রেমটা মানাচ্ছে তো? 

তিনি আর পাঁচ জন পোপের থেকে আলাদা। গির্জার নিয়ম ভেঙেছেন আগেও। কখনও মহিলা বন্দির পা ধুয়ে দিয়েছেন, কখনও জড়িয়ে ধরেছেন ‘কদাকার-দর্শন’ রোগীকে। আবার সরব হয়েছেন সমকামীদের অধিকার নিয়েও। এ বার ফের নিয়ম ভাঙলেন পোপ ফ্রান্সিস। হঠাৎই বেরিয়ে পড়লেন ভ্যাটিকান থেকে। নেহাত্ই ব্যক্তিগত কাজে। চশমার পাওয়ার বেড়েছে। সকলেই বলেছিলেন, পোপ কেন দোকানে যাবেন! দোকান-মালিককেই ভ্যাটিকানে ডেকে নিলেই হয়। সেই মতো খবরও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পোপ জানিয়ে দেন, তিনিই যাবেন। সেই মতো নিজেই কাল দোকানে গিয়ে পছন্দ করেন চশমার ফ্রেম। সঙ্গে ছিলেন এক জন দেহরক্ষী ও সাদা পোশাকের পুলিশ।

গত বছর ওই দোকানেই চশমা বানিয়েছিলেন পোপ। দোকান-মালিক আলেস্যান্দ্রো স্পেজিয়া আজ বলেন, ‘‘গত বার আমাদের বানানো চশমা খুব পছন্দ হয়েছিল ওঁর। তাই নতুন প্রেসক্রিপশনও এখানে নিয়ে আসেন। আমারই অবশ্য ভ্যাটিকানে যাওয়ার কথা ছিল। পোপ রাজি হননি।’’ স্পেজিয়ার ছোট্ট দোকানটিতে ঘণ্টাখানেক ছিলেন পোপ। ভিড় জমে যায় আশপাশে। দোকান থেকে বেরোতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। কেউ জড়িয়ে ধরেন হাত। কেউ বা হাত বাড়িয়ে দেন পোপকে একটু ছুঁয়ে দেখতে।  বুয়েনস আইরেসে আর্চবিশপ থাকাকালীন বাসে-ট্রামেই যাতায়াত করতেন তিনি। কোনও সমস্যা হতো
না। ‘‘এখন আর ইচ্ছেমতো বেরোতে পারি না’’, আক্ষেপ ‘পোপ’ ফ্রান্সিসের।













  • শুরু থ তিনি 

Friday, 7 August 2015

NASA camera reveals dark side of moon

NASA camera reveals dark side of moon

This image shows the far side of the moon, illuminated by the sun, as it crosses between the DSCOVR spacecraft's Earth Polychromatic Imaging Camera (EPIC) camera and telescope, and the Earth - one million miles away.
NASA
 
This image shows the far side of the moon, illuminated by the sun, as it crosses between the DSCOVR spacecraft's Earth Polychromatic Imaging Camera (EPIC) camera and telescope, and the Earth - one million miles away.

The images show the fully illuminated "dark side" of the moon that is never visible from Earth.

From nearly a million miles away, a NASA camera has captured a stunning view of the far side of the moon as it moved in front of the sun-lit side of Earth last month.

The images show the fully illuminated “dark side” of the moon that is never visible from Earth.

The lunar far side lacks the large and dark basaltic plains (called maria) that are so prominent on the Earth-facing side.

A thin sliver of shadowed area of moon is visible on its right side.
“It is surprising how much brighter Earth is than the moon. Our planet is a truly brilliant object in dark space compared to the lunar surface,” said said Adam Szabo, project scientist at NASA’s 

Goddard Space Flight Center in Greenbelt, Maryland.
The images were captured by NASA’s Earth Polychromatic Imaging Camera (EPIC), a four megapixel CCD camera and telescope aboard the Deep Space Climate Observatory (DSCOVR) satellite orbiting a million miles from Earth.

EPIC maintains a constant view of the fully-illuminated Earth as it rotates, providing scientific observations of ozone, vegetation, cloud height and aerosols in the atmosphere.

The far side of the moon was not seen until 1959 when the Soviet Luna 3 spacecraft returned the first images.

Since then, several NASA missions have imaged the lunar far side in great detail.

The same side of the moon always faces an earthbound observer because the moon is tidally locked to Earth.

That means its orbital period is the same as its rotation around its axis.

Once EPIC begins regular observations next month, NASA will post daily colour images of Earth to a dedicated public website.
About twice a year, the camera will capture the moon and Earth together as the orbit of DSCOVR crosses the orbital plane of the moon.

Congress attacks Sushma on Lalit Modi issue

Congress attacks Sushma on Lalit Modi issue

Congress president Sonia Gandhi and party vice-president Rahul Gandhi, along with party MPs, stage a dharna at the Parliament House on Friday. -- Photo: V. Sudershan

Congress president Sonia Gandhi and party vice-president Rahul Gandhi, along with party MPs, stage a dharna at the Parliament House on Friday.

The Congress and other Opposition members on Friday continued their protests against the suspension of 25 party MPs.

The Congress and other Opposition members continued their protests against the suspension of MPs from the Lok Sabha, on Friday. They staged a sit in dharna at the Parliament House.
 
As it happened:
3.40 p.m.: Lok Sabha fails to reconvene after lunch for want of quorum. Secretary General says it will meet after some time.
3.11 p.m.: Defence Ministry has started fresh cost negotiations with the US firm Sikorsky for purchase of 16 multi-role naval helicopters, Lok Sabha was told on Friday.

In a written reply in Lok Sabha, Defence Minister Manohar Parrikar said 61 were martyred in 2012 and 54 in 2013. Read more
3.10 p.m.: Both Houses of Parliament today paid homage to the martyrs of freedom struggle on the eve of 73rd anniversary of the Quit India movement.

Government has decided that Aadhaar enrolment of Non-Resident Indians, Persons of Indian Origin and Overseas Citizen of India should be eventually allowed to help them authenticate their identity digitally. Read more
 
3.00 p.m.: Rajya Sabha adjourned for the day due to continued uproar by Congress members. Read more.
12: 05 pm: Rajya Sabha adjourned till 2:30 pm.

Law Minister D V Sadananda Gowda informs Rajya Sabha in a written reply that the “government has not restarted consultation with any political party or other stake holder” on the bill which had lapsed following the dissolution of the 15th Lok Sabha. Read more
11: 45 am: CPI(M) protests at Parliament House demanding action against Shivraj Chouhan, Vasundhara Raje and Sushma Swaraj. 


  11: 30 am: Rahul Gandhi takes a dig at Sushma Swaraj for making a speech in Lok Sabha 'when opposition was sitting outside'
 
11: 20 am: Rajya Sabha adjourned till 12 after noisy protests by Congress members who troop into the Well.
 
11: 10 am: "Sushmaji made a very eloquent but hollow speech," says Rahul Gandhi on the Union Minister's statement in Lok Sabha on Lalit Modi issue.
 
11 am: I would have done my best to help the lady but not by breaking the law: Sonia Gandhi on Sushma Swaraj's plea that she had not helped Lalit Modi but his cancer—stricken wife.
 
10: 50 am: Sushma Swaraj is an expert in theatrics, says Cong President Sonia Gandhi.
 
10:45 am: Congress vice-president Rahu Gandhi leads the protest.
 
10:30 am: Congress stages a sit in dharna at the Parliament House
Even as the government indicated that there would be no early adjournment of the Monsoon Session of Parliament, the Congress continued its protest against the suspension of its MPs from the Lok Sabha Apprehending that the government would, in the absence of the Opposition try and clear Bills even in the Rajya Sabha, the Congress’s chief whip in the Upper House, Satyavrat Chaturvedi, issued a three-line whip to all party MPs to be present in the House.
Meanwhile, the Congress had termed as ‘emotional blackmail', the External Affairs Minister Sushma Swaraj's speech in the Lok Sabha that she had not interceded with the British on former IPL commissioner Lalit Modi’s behalf.

U.S. Agrees to Release Huawei Executive in Case That Strained Ties With China

  U.S. Agrees to Release Huawei Executive in Case That Strained Ties With China Meng Wanzhou, a senior executive of Huawei Technologies,  ou...